স্বদেশ ডেস্ক:
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছায় পারিবারিক কবরস্থানে বাবা অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে বিকেল ৩টার দিকে অবন্তিকার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাসনগাছা জামে মসজিদের সামনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় অংশ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফতাহুল হাসান বলেন, ‘অবন্তিকা খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তাকে হারানোর মধ্য দিয়ে আমরা একটি সম্পদ হারালাম। আমরা বিশ্বাস করি অবন্তিকার সাথে যা যা হয়েছে, সেগুলো সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বের করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের আম্মান সিদ্দিকী নামের এক সহপাঠীকে দায়ী করে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জবির আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই ছাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহকে আহ্বায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিমাদ্রি শেখরকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন এবং সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুমুর আহমদ।
অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম।